রাতারাতি গোলাপী হয়ে গেল হ্রদের পানি

ভারতের পশ্চিম মহারাষ্ট্র রাজ্যের একটি হ্রদের (লোনার হ্রদ) পানি রাতারাতি গোলাপী হয়ে উঠেছে। যা দেখে হতবাক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত লবণাক্ত পানিতে রয়েছে প্রচুর শৈবাল। এসবের রাসায়নিক ক্রিয়ায়ই গোলাপী বর্ণ ধারণ করেছে হ্রদের পানি।

গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে একটি উল্কাপাতের ফলে লোনার হ্রদটির জন্ম হয়েছে। ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাই থেকে ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) দূরে অবস্থিত এ হ্রদটি পর্যটক এবং পরিবেশবিদদের কাছে একটি জনপ্রিয় হট স্পট।

বিগত দুই-তিন দিন ধরে হ্রদের পানি গোলাপী হয়ে গেছে। হ্রদের নতুন রঙের পানির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু হওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লোনার পানি অতীতেও রঙ বদলেছে। তবে তা এবারের মতো এতো স্পষ্ট হয়নি। খবর গাল্ফ নিউজের।

রাজ্য পরিচালিত মহারাষ্ট্র ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ভূবিজ্ঞানী গাজানান খারাট বলেছেন, এ বছর পানির স্তর কমে যাওয়ায় এবং শৈবাল বেড়ে হ্রদটি উষ্ণ হয়ে উঠেছে, লবণাক্ততাও বৃদ্ধি পেয়েছে। শৈবালগুলো উষ্ণ তাপমাত্রায় লালচে হয়ে যাওয়ায় হ্রদটি রাতারাতি গোলাপী হয়ে গেছে।

এদিকে করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন থাকায় বন্ধ ছিল দেশের কলকারখানা ও অফিস। ফলে ভারতের দূষিত বিভিন্ন শহরে আকাশ আবার নীল বর্ণ ফিরে পেয়েছে। লকডাউন হ্রদের পানির রঙ বদলে ভূমিকা রেখেছে বলেও ধারণা অনেকের।

রাজ্যের বন বিভাগের কর্মকর্তারা এ বদলের পেছনের সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
বাবাসাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রধান মদন সুরিয়াভাসি বলেছেন, করোনার কারণে দেশে লকডাউন থাকায় মানুষদের তেমন কার্যক্রম ছিল না। যা পানির রঙ বদলে ভূমিকা রেখেছে। তবে গবেষণা শেষ হলেই এর মূল কারণ জানা যাবে।